জাপানে বাংলাদেশী প্রকৌশলীর অভূতপূর্ব সফলতা
জনাব শাহরিয়ারের জন্ম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। দাদার বাড়ী খুলনা । বাল্যকালে ভেরামারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জাপানী প্রকৌশলীদের কর্মনিষ্ঠা দেখে উদ্বুদ্ধ শাহরিয়ার আহমেদ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ১৯৮৮ সালে জাপানের টোকিওতে এসে জাপানী ভাষা শিখেন
জাপানে বাংলাদেশী প্রকৌশলীর অভূতপূর্ব সফলতা
জনাব শাহরিয়ারের জন্ম কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। দাদার বাড়ী খুলনা । বাল্যকালে ভেরামারায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জাপানী প্রকৌশলীদের কর্মনিষ্ঠা দেখে উদ্বুদ্ধ শাহরিয়ার আহমেদ ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ১৯৮৮ সালে জাপানের টোকিওতে এসে জাপানী ভাষা শিখেন। পরে তাকুশোকু বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রী এবং টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন । এটি জাপানে বিজ্ঞান চর্চা ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের একটি সূতিকাগার হিসাবে পরিচিত। তিনি সেখানে ১৯৯৬-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত গবেষণায় নিয়োজিত থেকে অভূতপূর্ব কৃতিত্ব অর্জন করেন। পরবর্তীতে, তিনি নিগাতার সাঙ্গিও বিশ্ববিদ্যালয় ও ওকিনাওয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে কাজ করেন। সেখান থেকে জাপান সরকার তাকে নিগাতার সানজো সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও সিইও (ভাইস চ্যান্সেলর) হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন ।
জাপানে বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে তিনিই সর্বোচ্চ পদে পদায়ন হয়েছেন । কিছুদিন পূর্বে জাপানের প্রধানমন্ত্রী 'ফুমিও কিশিদা' এই বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে তার কার্যক্রমের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন । জনাব শাহরিয়ারের স্ত্রী একজন কোরিয়ান নারী এবং টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে তার সহপাঠী ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক কন্যা রয়েছে।