Blog

গ্রামজীবনের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলাে ‘হাট’

গ্রামীণ মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যসম্ভার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্যে সপ্তাহে যেকোনাে এক বা দুই দিন একটা নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়

আমাদের দেশ গ্রামপ্রধান দেশ। আর গ্রামের স্বয়ংসম্পূর্ণতা সৃষ্টিতে হাটের অবদান অনস্বীকার্য

গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়েই হাট বসে। খুব বেশি দামি জিনিস সেখানে বিক্রি হয় না। সাধারণত কৃষিজীবী, মৎস্যজীবী এবং ক্ষুদ্র কুটিরশিল্পীদের সাধারণ পণ্যসামগ্রী নিয়েই হাট বসে। সেসব পণ্য গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন প্রয়ােজন মেটাতে সক্ষম।

হাটের দিন আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ নিজ নিজ পণ্য নিয়ে সমবেত হয়। সাধারণত দুপুরের একটু আগে থেকেই বিক্রেতাদের আগমন শুরু হয়, বিকেলের দিকে হাট জমজমাট হয়ে ওঠে এবং সন্ধ্যার সময় হাট ভেঙে যায়। কেনা-বেচার সুবিধার্থে হাটের একেক অংশে একেক পণ্যের পসরা বসে। যেমন- ধান বিক্রির জন্যে একটা নির্দিষ্ট অংশে ধান রাখা হয়। তেমনি সবজি, মাছ কিংবা কুটিরশিল্পীদের তৈরি জিনিস বিক্রির জন্যে একেকটা অংশ নির্ধারিত থাকে। এছাড়াও হাটে স্বল্পমূল্যের কাপড় এবং সাজের জিনিস (পুঁতির মালা, লিপস্টিক, নেইল পলিশ, কানের দুল, হাতের চুড়ি ইত্যাদি) বিক্রয় করা হয়।

হাট সাধারণত গ্রামের স্বল্পআয়ের মানুষের প্রয়ােজন মেটানাের জন্যেই বসে। তাই তাদের ক্রয়সীমার মধ্যেই সেখানে জিনিসপত্র আনা হয়। গ্রামের মানুষের প্রয়ােজনীয় সব জিনিসই সেখানে পাওয়া যায়। আর এসব হাটের ক্রেতা যেহেতু আশপাশের লােকজন তাই খুব বেশি পণ্যের আমদানি সেখানে হয় না। ফলে যা আনা হয়, তার প্রায় সবই বিক্রি হয়ে যায়। দিনের শেষে আবার হাটের স্থান পূর্বের ন্যায় শূন্য হয়ে যায় এবং অপেক্ষা করে আগামী হাটের।

Blog Author

Md Abdul Gaffer

Written by

RECIPE REVIEWS

Login to comment