প্রবাসীদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
প্রবাসীদের মেধা, অর্থ আর দেশের ঋণ শোধ করার স্পৃহা দেশের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়নে, অর্থায়নে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে
প্রবাসীদের নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়
২০২৪ সালে ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর আবার আমরা প্রবাসীরা স্বপ্ন দেখছি কীভাবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর চেয়েও বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারব।
বাংলাদেশের সড়কগুলোয় শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, শহরের বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা পরিষ্কারের চিত্র ও বিভিন্ন দলের নাগরিকদের ধর্মীয় উপাসনালয় পাহারা দেওয়ার হৃদয়স্পর্শী ছবিগুলো সারা পৃথিবীর মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গ্রুপগুলোর আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে এগুলো এখন বারবার আসছে। অনেক প্রবাসী দেশের ক্রান্তিকালে এই স্বেচ্ছাসেবীদের মতোই নিজেদের সময়, মেধা ও সম্পদকে কাজে লাগানোর পথ খুঁজছেন।
আজকের বাংলাদেশে প্রবাসীরা দেশের জন্য অবদান রাখেন মূলত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে। খুব নগণ্যসংখ্যক প্রবাসীই এর বাইরে অন্য কোনো ক্ষেত্রে বর্তমানে অবদান রাখতে পারছেন। প্রবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশের সবচেয়ে মেধাবী, সবচেয়ে শিক্ষিত ও সবচেয়ে অর্থশালী বিপুলসংখ্যক মানুষ আছেন, যাঁরা রেমিট্যান্সের চেয়েও গভীরতর অবদান রাখতে পারেন। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশ্বমানের কর্মসংস্থানের প্রকল্পে এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে জড়িত হতে পারেন।
একসময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর স্যার ফজলে হাসান আবেদের মতো মানুষেরা প্রবাসজীবন ছেড়ে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, অগণিত মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছিলেন। পৃথিবীজুড়ে তাঁদের অসামান্য সফলতার জন্য সম্মানিত হয়েছেন।