এ এক অন্য বাংলাদেশ
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের বিপুল সায় নিয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন। এরপর নিজের শাসনামলে আর কোনো গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন তিনি হতে দেননি।
এখন থেকে বাংলাদেশ হবে সবার। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলের অধিকার নিশ্চিত করা হবে
দীর্ঘ ১৬ বছরের একদলীয় শাসনের অবসান হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছে ছাত্র-জনতা। দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা। তাতেই বিজয় উল্লাসে মেতেছেন আপামর জনতা। দুপুরের পর থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের তীর্থস্থান শাহবাগে আসতে থাকেন মুক্তিকামী মানুষ।
এদিন রাজধানীর সব বিজয় মিছিলের স্রোত মিশেছে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। সেখান থেকে বিজয়ী ছাত্র-জনতা দখলে নেন গণভবন। বিজয়ের এ মিছিলের শক্তি হয়ে ছিলেন আবু সাঈদ ও দীপ্ত দে’র মতো তিন শতাধিক শহীদ। তাদের রক্তেই এসেছে চূড়ান্ত বিজয়।
রাজধানীর অলিতে গলিতে শুরু হওয়া মিছিলগুলো শাহবাগের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। যে মিছিলের স্লোগান ছিল- ‘এইমাত্র খবর হলো, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল’, ‘হৈ হৈ রই রই, শেখ হাসিনা গেলি কই’, ‘এইমাত্র খবর হলো, বাংলাদেশ স্বাধীন হলো’, ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার’, ‘লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারও বাপের না’, ‘শহীদের রক্ত, বৃথা যেতে পারে না’- ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিলে শামিল হয়ে একে-অপরকে মিষ্টি খাওয়ান জনতা। অল্প সময়ের মধ্যেই মিষ্টির দোকানের সবমিষ্টি পুরিয়ে যায়। শাহবাগের বিজয় উদ্যাপনে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সেখান থেকে বিজয় মিছিল নিয়ে গণভবনে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় ছাত্রদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও এসেছেন। শিশু থেকে আবাল বৃদ্ধ সবাই মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে। বিজয়ের মিছিলে থাকা আয়েশা আক্তার নামে এক নারী বলেন, দেশটাকে ধ্বংস করেছেন হাসিনা। তার পতনে আমাদের এ বিজয় উল্লাস।