রেমিট্যান্স শাটডাউন, প্রবাসীদের অভূতপূর্ব প্রতিবাদ
কমে গেছে অর্থনীতি অগ্রযাত্রার অন্যতম নির্ভরশীল সূচক রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্যঃসমাপ্ত জুলাই মাসে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্স শাটডাউন, প্রবাসীদের অভূতপূর্ব প্রতিবাদ
শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে, মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ, আমেরিকার কয়েকটি দেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে প্রবাসীরা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কোনো কোনো সমাবেশ থেকে রেমিট্যান্স ‘শাটডাউনের’ ঘোষণাও এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক সাড়া জুগিয়েছে। বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার ও প্রচারপত্র ভাসছে ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে। জানা যায়,
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে যদি কেউ বিদেশ থেকে প্রবাস আয় পাঠিয়ে থাকেন, ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের প্রবাস আয় প্রেরণকারী রেমিট্যান্স হাউসগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে,
তাতে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। তবে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। রেমিট্যান্স হাউসগুলো আয় ধরে রাখেনি। মূলত প্রবাসীরা আয় পাঠাচ্ছেন না। তারা বিকল্প পথে অর্থ প্রেরণ করছেন।
প্রবাসীদের পক্ষ থেকে প্রবাসী আয় বন্ধের আহ্বানে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে জোর প্রচারণা চলছে।
প্রবাসীদের একটি গ্রুপ ‘ছাত্র-জনতা হত্যার’ প্রতিবাদে ও সরকার পতনের দাবিতে অর্থ না পাঠানোর অঙ্গীকার করে অন্যদেরও নিরুৎসাহিত করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়।
তাদের বক্তব্য এমন, ‘সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ফ্যামিলি থেকে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছে। এক টাকাও ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠাব না।’ এমন স্ট্যাটাস দেখা যায়।
‘আমাদের টাকা দিয়ে বুলেট কিনে ওই বুলেট আমার ভাইদের বুকে মারা হয়। আমার ভাইদের হত্যার বিচার না হলে একটা টাকাও ব্যাংকে যাবে না। আমার সঙ্গে কে কে একমত?’ এমন একটি স্ট্যাটাস দিয়ে খবর ছেপেছে একটি জাতীয় দৈনিক।
বিদেশের মাটিতে বসে দেশপ্রেমের বহিঃপ্রকাশের সুবর্ণ সুযোগ এসেছে। ‘রেমিট্যান্স বন্ধ করে স্বৈরাচার হটাবার আন্দোলনের এমন সুযোগ আর পাব না। সুতরাং এক কোটি রেমিট্যান্স যোদ্ধার সঙ্গে আমিও একজন।’ এমন শপথবাক্য ফেসবুকে ঘুরছে।
কেউ কেউ টুইট করছেন অল্প শব্দে।