রিকশাচিত্রকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে ঢাকা শহরের রিকশা ও রিকশাচিত্র
রিকশা ও রিকশাচিত্রকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো
রিকশা ও রিকশাচিত্রকে ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তসরকারি কমিটির ১৮তম অধিবেশনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে রিকশা ও রিকশাচিত্র বৈশ্বিক বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল।
এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাউলগান (২০০৮), জামদানি বুননশিল্প (২০১৩), মঙ্গল শোভাযাত্রা (২০১৬) ও শীতলপাটি বুননশিল্পের (২০১৭) পর পঞ্চম বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় স্থান পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর ফলে গত আট দশক ধরে চলমান রিকশা চিত্রকর্ম একটি বৈশ্বিক ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করল।
গত ছয় বছর ধরে এ চিত্রকর্মের নিবন্ধন ও স্বীকৃতির প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রথম চেষ্টায় তা ব্যর্থ হয়। তবে ২০২২ সালে ফের নথি জমা দেওয়ার সুযোগ মিললে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ নথিটি নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার মুহম্মদ তালহা ও দূতাবাসের প্রথম সচিব ওয়ালিদ বিন কাশেম।
অধিবেশনে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাশিল্প নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। তাতে বলা হয়, ঢাকা শহরের তিন চাকার এই বাহনে থাকে নানা রঙের বৈচিত্র্য। বাহন হিসাবে শহরের মানুষের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে রিকশা।