Blog

কমেই চলেছে টাকার মান

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা

পাঁচ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকা সাড়ে ৮ টাকার মতো দর হারায়

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যেত ৬৯ টাকা। এরপর পাঁচ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকা সাড়ে ৮ টাকার মতো দর হারায়।

আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালের আগস্টে ডলারের আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বিনিময় হার ছিল ৭৭ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৫ সালের আগস্টে এই দর বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। ২০১৬ সালের আগস্টে ডলারের দর ছিল ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। ২০১৭ সালের আগস্টে ডলারের দর বেড়ে হয় ৮০ টাকা ৭০ পয়সা। ২০১৮ সালের আগস্টে ডলারের দর ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা হয়। ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা। তবে এর পরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে ডলারের দর আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসে। ওই বছরের ডিসেম্বর নাগাদ ডলারের দর একটু একটু করে বেড়ে আবার ৮৪ টাকা ৯০ পয়সায় উঠে আসে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ডলারের দর ছিল ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। জুনে ওই দর ৮৪ টাকা ৮৫ পয়সায় নেমে আসে। এরপর থেকে ডলারের দর চলতি বছরের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ৮৪ দশমিক ৮০ পয়সায় ‘স্থির’ ছিল। 

অন্যদিকে মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন (তিন হাজার ৮৭৬ কোটি) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ওই অর্থবছরে ৬৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন (ছয় হাজার ৫৬০ কোটি) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২২-এ বলা হয়েছে, ২০২২ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। টাকার এই অবমূল্যায়ন সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল করতে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ১৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এখন প্রতি ডলারে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা পাচ্ছেন রপ্তানিকারকরা। রেমিট্যান্সে দেওয়া হচ্ছে ১০৯ টাকা। আর আমদানিতে লেনদেন হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।

গত বছর জুলাইয়ের শেষে মোট রিজার্ভ নেমে যায় ৩৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। যদিও এখন সেটি আরও কমেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নিয়মে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩২৬ কোটি (২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার। গত ৯ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী, দেশের রিজার্ভ আছে ২ হাজার ৯৫৩ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রকৃত রিজার্ভে ৬২৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারে।

Blog Author

Md Abdul Gaffer

Written by

RECIPE REVIEWS

Login to comment