Blog

মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা দিশেহারা

সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত ডিম, পোল্ট্রি মুরগি, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও আলুর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এই সবকটি পণ্যই এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে

যখন সবকিছুরই দাম বাড়বে তখন আর তাদের কোনো বিকল্প থাকে না, কষ্টের মধ্যেই চলতে হয়

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন দামে সীমিত আয়ের অনেকেই এখন সংসারের ব্যয় কাটছাঁটের চাপে পড়েছেন। কারণ ডিম, আলু, পাঙাশ মাছ, তেলাপিয়া, ব্রয়লার মুরগির মতো সবচেয়ে সস্তার খাবারগুলোও এখন উচ্চমূল্যে কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকে।

 

 à¦•à§à¦°à¦®à¦¬à¦°à§à¦§à¦®à¦¾à¦¨ খরচ মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য মানসম্মত জীবন যাপন কঠিন করে তুলেছে।

 

নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সব স্তরের মানুষ ভোগান্তিতে পড়লেও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুলান করার কোনো পথ তারা খুঁজে না পেয়ে মধ্যবিত্তরা দিশেহারা।

 

প্রতি ডজন ডিমের দাম কয়েক মাসের ব্যবধানে ১২৫-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন ১২.৫০ টাকায় প্রতিটি ডিম পাওয়া গেলেও কদিন আগেই এটি ১৫ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০-৩৫ টাকা থেকে এক মাসের ব্যবধানেই ৪৫-৫০ টাকায় উঠেছে।

 

প্রতি পিস ডিমের দাম যখন ১৫ টাকার বেশি হয়, তখন ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে ডিমের তরকারির দাম ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছিল। ডিমের দাম যখন কমে এবং আলুর দাম বেড়ে যায়, তখন ডিমের তরকারি অনেক জায়গায়ই ৩৫ টাকা হয়ে গেছে।

 

আর আলু ভর্তার দাম কোথাও কোথাও এখন ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায় উঠেছে। কিন্তু যেসব বিক্রেতা দাম বাড়াননি, তারা ভর্তায় পরিমাণ কমিয়েছেন।

 

ঢাকার ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে দিনে ও রাতে অসংখ্য দিনমজুর, গাড়িচালক, চাকরিজীবী খাবার খান। কারণ এসব দোকানে কম খরচে খাবার খাওয়া যায়।

 

সরকার এক সপ্তাহ আগে আলু, ডিম ও পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে। প্রতিটি ডিম ১২ টাকা, আলু ৩৫-৩৬ টাকা কেজি এবং দেশি পেঁয়াজ ৬৪-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

 

কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় সপ্তাহখানেক পার হতে চললেও একটি পণ্যও নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। ডিম এখনো প্রতিটি ১২.৫০ টাকা, আলু ৪৫-৫০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়।

 

এর মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে এবং আলু কিছু জায়গায় ৫ টাকা পর্যন্ত কমে মিলছে। আর ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার দুই দফায় ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।

 

 

 

অভিযান পরিচালনার পর বন্ধ আলু বিক্রি

 

এদিকে ভোক্তা অধিদপ্তর প্রতিদিনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়নের জন্য। 

 

তবে কারওয়ানবাজারের আলুর পাইকারি বিক্রেতারা জানান, দাম বেঁধে করে দেওয়ার পর থেকেই আলুর চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় আলুর বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে।

 

অন্যান্য পণ্য

 

সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত ডিম, পোল্ট্রি মুরগি, পাঙাশ, তেলাপিয়া ও আলুর ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভরশীল। কিন্তু এই সবকটি পণ্যই এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

 

১৪০-১৫০ টাকার ব্রয়লার মুরগি এখন ১৮৫-১৯০ টাকায়, তেলাপিয়া মাছের দাম আকারভেদে ১২০-১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০-২৫০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১৭০-২২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ২৫০ টাকা কেজি দরের রুই মাছও এখন ৩৫০-৪৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

 

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য বলছে, দরিদ্র মানুষের মোটা চালও এখন ৫০ টাকার নিচে নেই।

সীমিত আয়ের মানুষের খাবারগুলো একটা অন্যটার সঙ্গে যুক্ত।

 

‘যখন পাঙাশ, তেলাপিয়া মাছের দাম, ব্রয়লার মুরগির মাংসের দাম বাড়ছে, তখন হয়তো ডিমের চাহিদা বেশি হবে। ডিমের দাম বেশি হলে ভর্তা-ডালের ওপর নির্ভরতা বাড়বে। যখন সবকিছুরই দাম বাড়বে তখন আর তাদের কোনো বিকল্প থাকে না, কষ্টের মধ্যেই চলতে হয়।

মুহাম্মাদ আব্দুল গাফফার

[email protected]

Blog Author

Md Abdul Gaffer

Written by

RECIPE REVIEWS

Login to comment