বৈষম্য মানি না
তরুণ ছাত্র সমাজ ও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উভয়ই যদি এই মৌলিক প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যা গভীরভাবে উপলব্ধি করে তা সমাধান করতে সচেষ্ট হয়, তাহলেই এবারের আন্দোলন সার্থক হবে
এবারের আন্দোলনে যে চমৎকার স্লোগানের উদ্ভব হয়েছিল তা হচ্ছে, ‘বৈষম্য মানি না’
বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম বাংলাদেশকে উদ্ধার করার মহৎ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে রাজপথে নেমে কাজ শুরু করেছে। তারা অসম সাহসী ও বীর এক প্রজন্ম। এ বয়সে তা–ই হওয়ার কথা।
এই প্রজন্মকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু পাশাপাশি তাদের সজাগ থাকতে অনুরোধ করি যেন তাদের উদ্যোগ দিশা না হারায়। যেন তাদের মধ্যে কেউ বাগড়া দিতে না পারে, আবার তাদের মধ্যেও কেউ লোভ ও পদের মোহে প্রতারণা বা অতি অহংকারী হঠকারিতার বশবর্তী হয়ে ভুল করে পথভ্রষ্ট না হয়। যেহেতু তাদের আকাঙ্ক্ষা বড়, সেহেতু তাদের দায়িত্বও বড়।
এবারের আন্দোলনে যে চমৎকার স্লোগানের উদ্ভব হয়েছিল তা হচ্ছে, ‘বৈষম্য মানি না’। কিসের বৈষম্য এটি না বলতে পারলে কিন্তু ‘বৈষম্য’ ধারণাটি মূর্ত হয় না। আমরা জানি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈষম্য হচ্ছে সম্পদ ও আয়ের বৈষম্য।
সমভাবে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নানা রকম মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের বৈষম্য। এ ছাড়া জেন্ডার বৈষম্য, ধর্মীয় বৈষম্য, জাতিতে জাতিতে বৈষম্য, শ্রেণিগত বৈষম্য ইত্যাদি হাজার হাজার বছর ধরে সমাজে বিদ্যমান এবং মানবজাতির সর্বজনীন লক্ষ্যই হচ্ছে সভ্যতার অগ্রযাত্রার মাধ্যমে তা ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা।