পুলিশের মামলায় গুলি নেই
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভিডিও এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের ওপর বেশির ভাগ জায়গাতেই গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী
পুলিশের মামলায় ‘গুলি’ নেই!
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বুক ও পেট পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরাও সে কথা বলেছেন। কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে থানায় করা মামলায় গুলিতে নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই।
শুধু সাঈদের ঘটনা নয়, কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা নিয়ে এ পর্যন্ত যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশের এজাহারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার কথাটি উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ সদস্যরা বাদী হয়ে এসব মামলা করেছেন। এদিকে অভিযোগ উঠছে, এই আন্দোলনের সহিংসতার ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কোনো মামলাই করতে পারছেন না।
একাধিক মামলার এজাহারগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এসব মামলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়ার কোনো কথা সেভাবে এজাহারে উল্লেখ করা হচ্ছে না।
এজাহার বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, অধিকাংশ এজাহারে আন্দোলন চলাকালে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মী এবং অছাত্র অনেকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে বলা হয়েছে। অথচ গণমাধ্যমে ধারণ করা ফুটেজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভিডিও এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের ওপর বেশির ভাগ জায়গাতেই গুলি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এতে অনেকে মারা গেছেন। আবার গুলিবিদ্ধ হয়ে হাজারখানেক মানুষ এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলছে, মূলত মামলা বা এজাহারে পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়; সেটা নিশ্চিত করতেই এই প্রক্রিয়া। এমনকি এখান থেকে এজাহার কাটছাঁটও করা হচ্ছে।