কম শিক্ষিত ও ঋণ করে বিদেশগামী সবচেয়ে বেশি
শহরের চেয়ে গ্রামের বিদেশগামীরাই দালালের ওপর বেশি ভরসা করে থাকেন। বিদেশ যেতে দালালকে টাকা-পয়সা যারা দেন, তাদের মধ্যে ৫৩ দশমিক ১০ শতাংশ গ্রামের মানুষ
কম শিক্ষিত ও ঋণ করে বিদেশগামী সবচেয়ে বেশি
বাংলাদেশের বেশির ভাগ অভিবাসীর (৫৩.৯১ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পাস। ১৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ অভিবাসী এসএসসি বা সমমান এবং ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ অভিবাসী এইচএসসি বা সমমান পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাঁদের বড় একটি অংশই ঋণ করে অভিবাসন খরচ মেটান।
অভিবাসনের ব্যয় অংশে বলা হয়, বিদেশ যাওয়ার ব্যয় জোগানের ক্ষেত্রে ৫৮ দশমিক ২৪ শতাংশ ঋণ করে থাকে। গ্রামীণ অভিবাসনপ্রত্যাশীর ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ৬১ শতাংশ।
সারাদেশের মধ্যে বরিশাল বিভাগের সর্বোচ্চ প্রায় ৬৯ শতাংশ ঋণ করে বিদেশ যাওয়ার ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। খরচের পরিমাণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, একই দেশে ভিন্ন উদ্দেশ্যে অভিবাসনে ব্যয় সমান নয়।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবে বাংলাদেশের অভিবাসীর সবচেয়ে বড় অংশ প্রায় ৩৫ শতাংশে ব্যয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। পাঁচ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন প্রায় ১০ শতাংশ অভিবাসী। মাত্র ৫০ হাজার টাকায় গেছেন আধা শতাংশ।
মালয়েশিয়ায় অভিবাসনে সবচেয়ে বড় অংশ ৩০ শতাংশে ব্যয় তিন থেকে চার লাখ টাকা।